Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

Search Suggest

যিনা কি ? ইসলামে যিনার শাস্তি কি ?

3 min read
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ “নারীদের পুরোটাই হচ্ছে “আওরাহ” বা সতর (শরীরের যে অংশ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক)। যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে চোখ তুলে দেখে। নারী ঘরের মধ্যে অবস্থানকালেই আল্লাহর বেশি নৈকট্য প্রাপ্ত থাকে।”(সুনানে আত-তিরমিজি ও ইবনে হিব্বান)

এই যদি হয় রাসূল ﷺ বাণী তা হলেতো বর্তমানে যা দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ মেয়েরা বের্পদা ভাবে চলা চল করে এবং কি খোলা মেলা চলা ফেরা করতে পছন্দ করে। এবার দেখি ইসলাম কি বলে যিনার ব্যাপারে।

পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফের মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেছেন,

وَلاَ تَقْرَبُواْ الزِّنَى إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاء سَبِيلاً

অর্থ: “আর তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তীও হয়ো না। নিশ্চয়ই এটা অশ্লীল কাজ এবং নিকৃষ্ট পন্থা।” (পবিত্র সূরা বনী ইসরাঈল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)

দুনিয়াতে তাদের জন্য কি শাস্তি- সে সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

الزَّانِيَةُ وَالزَّانِي فَاجْلِدُوا كُلَّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا مِئَةَ جَلْدَةٍ وَلَا تَأْخُذْكُم بِهِمَا رَأْفَةٌ فِي دِينِ اللَّهِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ وَلْيَشْهَدْ عَذَابَهُمَا طَائِفَةٌ مِّنَ الْمُؤْمِنِينَ

অর্থ: “ব্যভিচারিণী ও ব্যভিচারী, এদের প্রত্যেককে তোমরা একশ করে চাবুক মারবে। মহান আল্লাহ পাক উনার (শাস্তির) বিধান কার্যকর করতে তোমরা যেন তাদের প্রতি দয়ার বশবর্তী না হও। যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো। আর মু’মিনদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।” (পবিত্র সূরা নূর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২)



রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ “কোন বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা, অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা, ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা, খারাপ কথা শোনা কানের যিনা আর যিনার কল্পণা করা ও আকাংখা করা মনের যিনা। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয়”। সহীহ আল-বুখারী, সহীহ আল-মুসলিম,সুনানে আবু দাউদ, সুনানে আন-নাসায়ী।

যিনা হারামঃ আল্লাহ তাআ’লা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃ “তোমরা যিনার কাছেও যাবে না। কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ”। সূরা বনী ইসরাঈলঃ ৩২।

কোরআন শরিফ থেকে যিনার শাস্তিঃ আল্লাহ পাক যিনাকারী পুরুষ ও নারীর শাস্তির কথা ঘোষণা করে বলেন “যিনাকার যিনাকারী পুরুষ এদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে কোন দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হও। আর তাদের শাস্তি প্রদানকালে যেন মুসলমানদের একটি দল উপস্থিত হয়।” (সূরা-নূর, আয়াত-২)

যিনার শাস্তি হাদিস শরিফ থেকেঃ রাসুল ﷺ বলেছেনঃ “আমি স্বপ্নে একটি চুলা দেখতে পেলাম যার উপরের অংশ ছিল চাপা আর নিচের অংশ ছিল প্রশস্ত আর সেখানে আগুন উত্তপ্ত হচ্ছিল, ভিতরে নারী পুরুষরা চিল্লাচিল্লি করছিল। আগুনের শিখা উপরে আসলে তারা উপরে উঠছে, আবার আগুন স্তিমিত হলে তারা নিচে যাচ্ছিল, সর্বদা তাদের এ অবস্থা চলছিল, আমি জিবরীল আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলামঃ এরা কারা? জিবরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললঃ তারা হল, অবৈধ যৌনচারকারী নারী ও পুরুষ। সহীহ আল-বুখারী।

যিনার শাস্তি হাদিস শরিফ থেকেঃ হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) ও যায়দ ইবনে খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। দুই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ ﷺ এর নিকট অভিযোগ উত্থাপন করল। একজন বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফয়সালা করে দিন। অপরজন ছিল অধিক বুদ্ধিমান। সেও বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলুল্লাহ ﷺ আমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফয়সালা করে দিন। রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, আচ্ছা বল। লোকটি বলল, আমার ছেলে এই ব্যক্তির কাজ করত। সে তার স্ত্রীর সাথে যিনা করল। তখন তারা আমাকে বলল যে, আমার ছেলেকে প্রস্তর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হবে। তখন আমি আমার ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে একশত বকরী ও আমার একটি বাঁদী দিয়ে দিলাম। তারপর আমি আলেমদের জিজ্ঞাসা করলাম। তাঁরা বলল, আমার ছেলেকে একশত বেত্রাঘাত করতে হবে এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর করতে হবে। আর তার স্ত্রীকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করতে হবে।
তখন রাসূলুল্লাহ ﷺ বললেন, শোন, আমার জান যার হাতে তার শপথ করে বলছি, আমি অবশ্যই তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফয়সালা করব। তোমার বকরী এবং বাঁদী তোমার নিকট ফিরিয়ে দেয়া হবে। তোমার ছেলেকে একশত বেত্রাঘাত করে হবে এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর করা হবে। তারপর উনায়স আসলামী (রাঃ) কে বললেন, হে উনায়স! এই লোকের স্ত্রীর নিকট যাও। যদি সে স্বীকার করে, তবে তাকে প্রস্তর নিক্ষেপ করে হত্যা করো। তারপর মহিলাটি যিনার কথা স্বীকার করলে তাকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করা হল।” (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, আবূ দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ, মুয়াত্তা মালিক, দায়িমী)

হে নারী ও পরুষ সাবধান হও অবাধ যৌনচার থেকে….কারণ কেয়ামতের দিন নিজেদের বুঝা নিজেকেই উঠাতে হবে কেউ কারো গুনাহের বুঝা উঠাবে না….!!! আল্লাহ আমাদের সহী বুঝ দান করুক আমীন….!!


ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিদাকা আবি ওয়া উম্মী ওয়া আহলি ওয়া দাময়ী ��

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...