Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

Search Suggest

দৃষ্টিকে সংযত রাখার ব্যাপারে :-

2 min read


আল্লাহ্ সুবহানু ওয়া তা’লা ইরশাদ মুবারক করেন যে “মুমিন পুরুষদের বলঃ তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে; এটাই তাদের জন্য উত্তম; তারা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ্‌ অবহিত।” (পবিত্র সুরাহ আন-নূর শরিফ, আয়াত শরিফ ৩০)

ব্যাখ্যাঃ আল্লাহ্‌ তা’আলা নির্দেশ দিচ্ছেন যেগুলোর প্রতি দৃষ্টিপাত করা হারাম করেছি ওগুলোর প্রতি দৃষ্টিপাত করোনা। হারাম জিনিস হতে চক্ষু নীচু করে নাও। যদি আকস্মিক ভাবে পড়েই যায় তবে দৃষ্টি ফিরিয়ে নাও।

হযরত জারীর ইবনে আবদিল্লাহ বাজালী (রা) হতে বর্ণীত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ (সা) কে হঠাত দৃষ্টি পড়ে যাওয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “সাথে সাথেই দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবে” [এই হাদীসটি ইমাম মুসলিম (র) বর্ণনা করেছেন]

হযরত বুরাইদা (রা) হতে বর্ণীত, রাসূল (সা) আলী (রা) কে বলেনঃ “হে আলী! দৃষ্টির উপর দৃষ্টি ফেলো না। হঠাত যে দৃষ্টি পড়ে ওটা তোমার জন্যে ক্ষমার্হ, কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি তোমার জন্যে ক্ষমার যোগ্য নয়। [এই হাদীসটি ইমাম আবূ দাঊদ (র) বর্ণনা করেছেন]

হযরত আবূ উমামা (রা) হতে বর্ণীত, তিনি রাসূল (সা) কে বলতে শুনেছেন যে, তোমরা ছয়টি জিনিসের দায়িত্ব নাও তাহলে আমি তোমাদের জন্য জান্নাতের দায়িত্ব নিচ্ছি। ছটি জিনিস হলোঃ কথা বলার সময় মিথ্যা বলবেনা, আমানতের খিয়ানত করবেনা, ওয়াদা ভঙ্গ করবেনা, দৃষ্টি নিম্নমুখী রাখবে, হাতকে যুলুম করা হতে বাঁচিয়ে রাখবে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করবে। [এই হাদীসটি আবুল কাসেম আল বাগাভী (র) বর্ণনা করেছেন]

রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যাক্তি তার জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের (রক্ষার) দায়িত্ব নেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব নেবো। [এই হাদীসটি ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেছেন]

হযরত আবূ উমামা হতে বর্ণীত, রাসূল (সা) বলেছেন, “হয় তোমরা তোমাদের দৃষ্টি নিম্নমুখী রাখবে, নিজেদের যৌন অঙ্গকে সংযত রাখবে এবং মুখমণ্ডলকে সোজা রাখবে, না হয় আল্লাহ্‌ তোমদের চেহারা বদলিয়ে দিবেন। [এই হাদীসটি ইমাম তিবরানী (র) বর্ণনা করেছেন]

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) হতে বর্ণীত, রাসূল (সা) বলেছেনঃ দৃষ্টি শয়তানী তীরসমূহের মধ্যে একটি তীর। যে ব্যাক্তি আল্লাহ্‌র ভয়ে নিজের দৃষ্টিকে সংযত রাখে, আল্লাহ্‌ তার অন্তরে এমন ঈমানের জ্যোতি সৃষ্টি করে দেন যে, সে ওর মজা উপভোগ করতে থাকে।

আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণীত, রাসূল (সা) বলেছেনঃ ইবনে আদমের জন্য ব্যাভিচারের একটি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এটা সে নিঃসন্দেহে পাবেই। দু’চোখের যিনা হল দেখা, দু’কানের যিনা হল যৌন উত্তেজক কথাবার্তা শ্রবণ করা, মুখের যিনা হল আলোচনা করা, হাতের যিনা হল স্পর্শ করা, পায়ের যিনা ঐ উদ্দেশ্যে যাতায়ত করা। অন্তর ঐ কাজের কুপ্রবৃত্তিকে জাগ্রত করে এবং তার আকাংখা সৃষ্টি করে। আর যৌনাংগ এমন অবস্থাকে সত্যায়িত বা মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। [এই হাদীসটি ইমাম বুখারী (র) বর্ণনা করেছেন]

আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণীত, রাসূল (সা) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন প্রত্যেক চোখই কাঁদবে, শুধুমাত্র ঐ চোখ কাঁদবে না যেই চোখ আল্লাহর হারামকৃত জিনিস না দেখে বন্ধ থেকেছে, আর ঐ চোখ যা আল্লাহ্‌র পথে জেগে থেকেছে এবং আল্লাহ্‌র ভয়ে কেঁদেছে, যদিও এ চোখের অশ্রু মাছির মাথার সমানও হয়। {তাফসীর ইবনে কাসীর}

ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিদাকা আবি ওয়া উম্মী ওয়া আহলি ওয়া দাময়ী ��

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...