Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

Search Suggest

এক আয়াতে ৩৭ লক্ষ ৮০ হাজার নেকী :-

3 min read
যদি আল্লাহ চান ১ আয়াত পড়ার বিনিমতে পেতে পারেন ৩৭ লক্ষ ৮০ হাজার সওয়াব।

Written & Answered By (Masum Billah Sunny)

Note :  আমি এই সম্পুর্ন পোস্টটির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ আমি লিখলাম আল্লাহ ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করুন।
আমরা অনেক নেকীর আমল করে থাকি তাই সবাইকে বলব কোন আমলকেই ছোট করে দেখবেন না।
হয়ত সেই ছোট আমলটির কারনে আল্লাহ খুশি হয়ে ১০-৭০০ গুন সওয়াব বৃদ্ধি করে দিতে পারেন।
আল্লাহ অনেক মহান। তাই তিনি আমাদের নেক আমল গুলোকে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করে থাকেন।

★ সুরা মুজাম্মেল :

"" তোমরা তোমাদের আত্মার জন্য অগ্রে যাকিছু পাঠাবে তা আল্লাহর নিকট উতকৃষ্টরুপে এবং পুরষ্কার হিসেবে বর্ধিত রুপে পাবে।""

সুরা-আর রাহমানের অসাধারন এই আয়াতটিতে যে কি রহমত আর বরকত আছে তা আমি জানি না তবে বারবার প্রমান পাই। যেকোন বিপদ আর অসুখ-বিসুখে।

★ ফাবিআইয়্যি আলা---ই রাব্বি কুমাতো কাজ্জিবান।
(সুরা আর-রাহমান)

অর্থ : তবে তোমরা তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?
-- ইয়া আল্লাহ ইয়া আল্লাহ ক্ষমা করুন কোন দিন তা পারব না :'( :'(

★ এই আয়াত উক্ত সুরায় কত বার আছে? কত হরফ? কত সওয়াব?

- এই আয়াতটি সুরা আর-রহমানে ৩০ বার পুনরাবৃত্তি হয়েছে।

- উক্ত আয়াতে ১৮ টি হরফ আছে ।

- ১বার পড়লে ৩০ আয়াত পড়া হয়ে যাবে তাই ৩০ আয়াতেরই সওয়াব হবে।

- যেহেতু আল-কোরআন তেলাওয়াতে প্রতি হরফের বিনিময়ে আল্লাহ ১০টি নেকী দিবেন।
তিরমিযী হা/২৯১০;
মুসতাদরাকে হাকেম হা/২০৯২;
মিশকাত হা/২১৩৮,  হাদীছ ছহীহ।

হাদিসে আছে তাই দেখুন :

১৮ (হরফ) *১০ (নেকী) *৩০ (বার) = ৫৪০০ নেকী (সুবাহানাল্লাহ)


- রমজান ছাড়া অন্যান্য মাসে আল্লাহ পাক ১০ থেকে ৭০০ গুন পর্যন্ত আল্লাহ ওনার ইচ্ছামত সওয়াব দিয়ে থাকেন। যেমন :

হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ বলেন,

كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ

الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى

سَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ

إِلاَّ الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِيْ وَأَنَا أَجْزِي بِهِ

"মানব সন্তানের প্রতিটি নেক আমলের প্রতিদান দশ থেকে সাতশত গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে। আল্লাহ তা'আলা বলেন, কিন্তু সিয়ামের বিষয়টি ভিন্ন। কেননা সিয়াম শুধুমাত্র আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দেব।
reference :
→ মুসলিম
→ আহমাদ, মুসনাদ ২/৫০৩

তাহলে যদি ধরি-
- ৫৪০০*৭০০= ৩৭৮০০০০ (৩৭ লক্ষ ৮০ হাজার সওয়াব) সুবাহানাল্লাহ

Note : আপনি হয়ত ১ টি ছোট আয়াত/সুরা পড়েছেন কিন্তু আপনি এই ভাবে চিন্তা করে দেখুন হাজার হাজার নেকী আল্লাহ দিতেও পারেন। তাই সবুর থাকুন। আল্লাহর কোন ইবাদতকে নগন্য বা ছোট মনে করবেন না।

★ শিক্ষা : নিশ্চই আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের  গুরুত্ব অসীম তাই এর তাগিদ এই যে :

মানুষ আল্লাহর করুনা আর অনুগ্রহ ভুলে যায়। আল্লাহ তাকে কতকিছুই না দান করেছেন অথচ কেউ স্বীকারই করে না আবার কেউ সময়ই পায় না স্বীকার করার।
দেহের প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ আল্লাহর নিয়ামত-রহমত-করুনা। যার নাই সে বুঝে ১টা চোখ, ১টা হাত, ১টা পা এর মুল্য কত অসীম তার কাছে। অথচ আল্লাহ পাক শুধু চান বান্দাকে যা দিয়েছেন তাতেই সন্তুষ্ট থেকে আলহামদুলিল্লাহ বলুক, সবুর থাকুন আর নিয়ামতের প্রশংসা করুক। হায় আফসোস এটুকুই আমরা পারি না কি জবাব দিব কাল মারা গেলে?

★ আল্লাহ শান আর তার দয়া ও করুনা সম্পর্কে পড়লে চোখে পানি চলে আসে :

★ হাদিস ১ :

রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
শয়তান বলল: "ইয়া আল্লাহ! তোমার
ইজ্জতের কসম,নিশ্চয় আমি তোমার
বান্দাদেরকে বিভ্রান্ত করতে থাকব
যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দেহে প্রাণ
থাকবে।
""অতঃপর মহান আল্লাহ বললেন,আমার
ইজ্জতের কসম ! আমি তাদেরকে মাফ
করতে থাকব যে পর্যন্ত তারা আমার
কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে।"
(হাদীসে কুদসী)

★ হাদিস ২ :

আল্লাহ বলেন,

যখন বান্দা আমার দিকে এক বিঘত অগ্রসর হয়, তখন আমি তার দিকে এক হাত অগ্রসর হই।
যখন সে আমার দিকে এক হাত অগ্রসর হয়, তখন আমি তার দিকে দু’হাত অগ্রসর হই।
আর যখন সে আমার দিকে হেঁটে আসে, তখন আমি তার দিকে দৌড়ে যাই।

(বুখারীঃ ৭৫৩৬, মুসলিমঃ ২৬৭৫)

★ হাদিস ৩ :

দুই জাহান্নামীর প্রতি আল্লাহর দয়া- সুবহানাল্লাহ

হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (দ) বলিয়াছেনঃ জাহান্নামীদের মধ্যে হইতে দুই ব্যক্তি খুব শোর- চিৎকার করিতে থাকিবে। তাহাদের চিৎকার শুনিয়া মহান রব্ব ফেরেশতাদিগকে বলিবেনঃ এই ব্যক্তিদ্বয়কে দোযগ হইতে বাহির করিয়া আন। যখন তাহাদিগকে উপস্থিত করা হইবে আল্লাহ্ জিজ্ঞেস করিবেন, কি কারনে তোমরা দুইজন এত শোর-চিৎকার করিতেছ ? তাহারা বলিবে, আমরা এইরূপ করিয়াছি যাহাতে আপনি আমাদের প্রতি রহম করেন।

তখন আল্লাহ্ বলিবেনঃ তোমাদের উভয়ের প্রতি আমার অনুগ্রহ এই যে, জাহান্নামের যেই স্থানে তোমরা অবস্থানরত ছিলে এখন সেখানে চলিয়া যাও এবং সেই স্থানেই তোমরা নিজেদেরকে স্বেচ্ছায় নিক্ষেপ কর। এই নির্দেশ শুনিয়া উভয়ের একজন স্বেচ্ছায় নিজেকে দোযখে নিক্ষেপ করিবে। তখন আল্লাহ্ দোযখের আগুনকে তাঁহার জন্য শীতল ও আরামদায়ক করিয়া দিবেন।

কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তিটি দাঁড়াইয়া থাকিবে, সে নিজেকে ঊহাতে নিক্ষেপ করিবে না। তখন পরওয়ারদিগার তাহাকে বলিবেনঃ যেইভাবে তোমার সাথী নিজেকে দোযখে নিক্ষেপ করিয়াছে, কিসে তোমাকে অনুরূপভাবে নিক্ষেপ করা হইতে বিরত রাখিল? তখন যে বলিবে, হে আমার রব্ব! আমি এই আশা রাখি যে, যেই জায়গা হইতে তুমি একবার আমাকে বাহির করিয়াছ, পুনরায় সেখানে আমাকে ফেরত পাঠাইবে না। অতঃপর রাব্বুল আলামীন বলিবেনঃ তুমি যেই আশা পোষণ করিয়াছ, তাহা পূরন করা হইল। তখ আল্লাহ্ তা’য়ালা তাঁহার বিশেষ অনুগ্রহে তাহাদের দুইজনকে জান্নাতে প্রবেশ করাইবেন।--- সুবাহানাল্লাহ

( তিরমিযী, মেশকাত শরীফঃ ৫৩৬৫(৩৫)।

আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করুন


ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিদাকা আবি ওয়া উম্মী ওয়া আহলি ওয়া দাময়ী ��

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...