Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

Search Suggest

Posts

আল-কোরআন এর আলোকে রাসুলুল্লাহ (সা) কে আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়েবঃ

5 min read

উক্ত পোস্ট এ যা যা আলোচনা করা হয়েছে : পুরু পোস্ট না পড়লে বিভ্রান্তিতে পতিত হবেন। 


১) আল্লাহর ইলমে গায়েবের আয়াত সমুহ। আল্লাহ স্বত্তাগত ভাবে গায়েব জানেন। রাসুলগন আল্লাহর খাস গায়েব (বা সম্পুর্ন গায়েব জানেন না) 

২) আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সা) ও মনোনিত রাসুলগনকে গায়েব জানিয়েছেন। আর এ সংবাদ কখনো ফেরেশতা,কখনো ওহী এবং কখনো আল্লাহ সরাসরি জানিয়েছেন (যেমন: মেরাজ এ)। 

৩) গায়েব সম্পুর্ন জানা এবং নিজে নিজে জানা এটা শুধু প্রভুর শানেই মানায় তাই বলে আল্লাহ যাকে গায়েব জানিয়েছেন তার সেই প্রদত্ত গায়েব তো অস্বীকার করলে আল্লাহ আয়াতকেই অস্বীকার করা হবে তখন কুফর হবে। আর আল্লাহ কতটুকু গায়েব জানিয়েছেন তা আল্লাহ ও রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম) ব্যাতীত কেউ জানে না।


★★★ যেমন : এই ৩ আয়াতে সমগ্র মুলভাব চলে এসেছে : 

তিনিই অদৃশ্যের জ্ঞানী, আর তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না কিন্তু তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত (তাদেরকে ইচ্ছা অনুযায়ী দান করেন) আর তিনি তখন তার সামনে ও তার পিছনে প্রহরী নিযুক্ত করেন। আল-জিন, ৭২:২৬-২৭ 

এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি। (আল-ইমরান ৩:৪৪) 

হে রাসূল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা আপনি পৌঁছে দিন। (মায়েদা ৫:৬৭) 
Note: এই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট হয় যে আল্লাহ যতটুকু নির্দেশ করেছেন ততটুকুই প্রচার করা হয়েছে তার মানে এই নয় যে রাসুলুল্লাহ (সা) যতটুকু গায়েব জানতেন পুরুটাই বলে দিয়েছেন ,এর মানে হল শুধু মাত্র আদিষ্ট জ্ঞানগুলোই প্রচার করেছেন। আরো স্পষ্ট বুঝার জন্য একটি হাদিস দিলাম : 


একটি হাদীসে এরশাদ ফরমান, 

“আমি আল্লাহর নামে কসম করছি, নিশ্চয় আমি কিছুই জানি না কেবল আমার প্রভু যা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া।” 
অর্থাৎ, 
" নিশ্চয় আমার প্রভু আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া আমি কিছুই জানি না । " 

হাদিসের ব্যাখ্যা:- 

তাবুকের যুদ্ধের সময় যখন রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর উট হারিয়ে গিয়েছিল। 
তখন তিনি মানুষদের কাছে ওর খোঁজ জানতে চান, যার প্রেক্ষিতে জনৈক মোনাফেক (যায়দ ইবনে আল-লাসিত আল-কায়নুকাঈ) বলেছিল, “এই হলেন মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) যাঁর কাছে ওহী এসেছে আসমান থেকে, অথচ তিনি জানেন না তাঁর উট কোথায়।” 

এ কথার পরিপ্রেক্ষিতে নূরনবী (দ:) আল্লাহর প্রশংসা করে বলেন, ”অমুক লোক (মোনাফেক) এ কথা বলেছে! 
আপনি বলুন! নিশ্চয় আমি কিছুই জানি না শুধু আমার প্রভু খোদাতা’লা যা আমাকে শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া অর্থাৎ 
নিশ্চয় আমার প্রভু আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছেন তা ছাড়া আমি কিছুই জানি না । আর তিনি আমাকে জানিয়েছেন যে ওই উট অমুক উপত্যকায় একটি গাছের সাথে লাগাম জড়িয়ে গিয়ে আটকে আছে।” মানুষেরা তখনি ওখানে দৌড়ে গিয়ে (ওই অবস্থায়) উটটিকে পায়। """ 

Reference : 
★ এই বর্ণনার সনদ দু’জন সাহাবী হযরত মাহমুদ ইবনে লাবিদ (রা:) ও হযরত উমারা ইবনে হাযেম (রা:) কর্তৃক প্রদত্ত। 

★ ‘আল-মাগাযী’ পুস্তকে ইবনে এসহাক কর্তৃক লিপিবদ্ধ আছে বলে- 
★ ইবনে হিশাম তাঁর ’সীরাহ’ (৫:২০৩) ও 
★ আত-তাবারী তাঁর ‘তারিখ’ (২:১৮৪) গ্রন্থগুলোতে বিবৃত করেছেন। এ ছাড়া- 
★ ইবনে হাযম নিজ ’আল-মুহাল্লা’ (১১:২২২) কেতাবে। 
★ ইবনে হাজর তাঁর ‘ফাতহুল বারী’ (১৩:৩৬৪, ১৯৫৯ সংস্করণ) 
★ ‘আল-ইসাবা’ (২:৬১৯) গ্রন্থগুলোতে, 
★ ইবনে হিব্বান সনদ ছাড়া স্বরচিত ‘আল-সিকাত‘ (২:৯৩) পুস্তকে বর্ণনাটি উদ্ধৃত করেন। 
★ ইবনে কুতায়বা (রা:)-কে উদ্ধৃত করে ‘দালাইল আন্ নবুওয়াহ’ (১৩৭ পৃষ্ঠা) কেতাবে আল-তায়মী এটি বর্ণনা করেন। 

★ ইমাম নাবহানীর উদ্ধৃত অংশটি হযরত উকবা ইবনে আমির (রা:) হতে আবু আল-শায়খ তাঁর ‘আল-আ’যামা’ (৪:১৪৬৮-১৪৬৯ #৯৬৭১৪) পুস্তকে বর্ণনা করেন, যা একটি দীর্ঘতর বর্ণনার অংশ এবং যা’তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নিম্নের কথাগুলোও : “তুমি এখানে আমাকে কী জিজ্ঞেস করতে এসেছ তা তোমার বলার আগেই আমি তোমাকে বলে দিতে পারি।" 



আল্লাহ সত্তাগতভাবে আলিমুল গায়েব আর রাসুল (সা) কে যতটুকু গায়েব দান করা হয়েছে তিনি সেই টুকু গায়েবের আলিম :- 


ل لاَّ أَقُولُ لَكُمْ عِندِي خَزَآئِنُ اللّهِ وَلا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ إِنْ أَتَّبِعُ إِلاَّ مَا يُوحَى إِلَيَّ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الأَعْمَى وَالْبَصِيرُ أَفَلاَ تَتَفَكَّرُونَ (50 

আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় (নিজের নিজে) অবগতও নই। 
আমি একথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা (কিন্তু আমি বাশার)। 
আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না। 
★Reference : সুরা আনআম ৫০ 


عِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلاَّ يَعْلَمُهَا وَلاَ حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الأَرْضِ وَلاَ رَطْبٍ وَلاَ يَابِسٍ إِلاَّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ (59 

তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে। 
Reference : সুরা আনআম ৫৯ 

★ ৫৯নং আয়াতে কারীমার প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই। সূরা আনয়ামের ৫০নং আয়াতে কারীমা আগে সূরা হুদের ৩১নং আয়াতে কারীমা সেখানে রয়েছে, হযরত নূহ (’আলাইহিস সালাম) তাঁর কওমকে বলেছিলেন: “আর আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধন- ভান্ডার রয়েছে এবং আমি গায়েব জানি না; আর আমি এও বলি না যে, আমিতো ফেরেশতা; আমি এটাও বলি না যে, তোমরা যাদেরকে হেয় ভাবছো - আল্লাহ কখনো তাদেরকে কল্যাণ করবেন না। তাদের হৃদয়ে যা রয়েছে - আল্লাহ তা ভালোকরেই জানেন। নইলে, আমি জালেমদেরই অন্তর্ভুক্ত হবো।” 

সূরা হুদের ৪৯ আয়াতে কারীমায় রয়েছে, “ওসব গায়েবের খবর আমি আপনার প্রতি ওহী করেছি - যেগুলো এর আগে আপনি ও আপনার উম্মত জানতেন না। ...”। 

ل لاَّ أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلاَ ضَرًّا إِلاَّ مَا شَاء اللّهُ وَلَوْ كُنتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لاَسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِيَ السُّوءُ إِنْ أَنَاْ إِلاَّ نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ (188 

আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান (তাই হয়)। আর আমি যদি গায়বের কথা ( নিজে নিজে ) জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।
★Reference : সুরা আল আরাফ ১৮৮ 


تِلْكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهَا إِلَيْكَ مَا كُنْتَ تَعْلَمُهَا أَنْتَ وَلا قَوْمُكَ مِنْ قَبْلِ هَذَا فَاصْبِرْ إِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِينَ 

(হে নবী) এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি; যা এর পূর্বে তুমি জানতে না আর না তোমার কওম জানত; সুতরাং তুমি ধৈর্য ধারণ কর, নিশ্চয় শুভ পরিণতি মুত্তাকীদের জন্যই। 
★ Reference : হুদ ১১:৪৯ 


يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ 

হে রাসূল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা তুমি পৌঁছে দাও। 
★ Reference : মায়েদা ৫:৬৭ 


ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ أَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ وَهُمْ يَمْكُرُونَ 

(হে নবী) এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি; তুমি তো তাদের নিকট ছিলে না যখন তারা তাদের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছিল আর তারা ষড়যন্ত্র করছিল। 
★ Reference : ইউসুফ ১২ : ১০২ 

মারইয়াম (আ) এর ঘটনা আল্লাহ তাঁর ওহীর মাধ্যমে রসূলকে জানিয়েছেন : 

ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلامَهُمْ أَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ 

(হে নবী) এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি; আর তুমি তাদের নিকট ছিলে না, যখন তারা তাদের কলম নিক্ষেপ করছিল, তাদের মধ্যে কে মারইয়ামের দায়িত্ব নেবে? আর তুমি তাদের নিকট ছিলে না, যখন তারা বিতর্ক করছিল। 
★ Reference : আল-ইমরান ৩:৪৪

ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিদাকা আবি ওয়া উম্মী ওয়া আহলি ওয়া দাময়ী ��

You may like these posts

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...