Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

Search Suggest

Posts

ইবনে তাইমিয়্যার মৃত্যুর পর ওহাবী সালাফীরা কি তাহলে শিরিক বিদআত করল?

2 min read



হাফিয ইবনু কাসীর (ইবনু তাইমিয়্যাহ এর ছাত্র) বেদায়া ওয়ান নেহায়া কিতাবে  একটি ঘটনা উল্লেখ করে বলেন,

ইবনু তাইমিয়্যাহ দিমাশকে ইন্তেকাল করেন।
গোসল দেয়ার পূর্বে একদল লোক মৃতদেহের পাশে বসলেন এবং কোর’আন তেলাওয়াত করলেন।

(উল্লেখ্য, লা-মাযহাবীরা মৃত ব্যক্তির পাশে কোর’আন তেলাওয়াতকে বেদ’আত বলে থাকে )

এবং তারা মৃতদেহ দর্শন করত: মৃতদেহ চুম্বন করে বরকত হাসিল করলেন।
অতঃপর তারা সেখান থেকে চলে গেলেন।
এরপর একদল মহিলা এসে উপস্থিত হলেন। তারাও একইভাবে কোর’আন তেলাওয়াত, দর্শন এবং চুম্বন করে বরকত হাসিল করলেন এবং চলে গেলেন।

( উল্লেখ্য, এগুলো লামাযহাবীদের নিকট চরম বেদ’আত
হাফিয ইবনু কাসীর অনেক আলোচনা করেছেন।
আগ্রহী ব্যক্তি আরবী এবারত পড়ে নেবেন। )

অতঃপর যখন তাঁর জানাযা শেষ হলো, তখন তাঁকে (মাকবারাতুস সুফিয়্যাহ) সুফীদের কবরে নিয়ে যাওয়া হলো এবং তাঁর ভাই শরফুদ্দীন আব্দুল্লাহ এর পাশে দাফন করা হলো।

(উল্লেখ্য, লা-মাযহাবীরা সুফীদেরকে মুশরিক বলে থাকে। তার মানে তাদের কথা মত, তাদের শায়েখুল ইসলামকে মুশরিকদের কবরস্থানে দাফন করা হলো। শায়খুল ইসলামের শেষ ঠিকানা হলো মুশরিকদের কবরস্থানে! )

ইবনু কাসীর বলছেন,
ইবনু তাইমিয়্যাহ এর ইন্তেকাল উপলক্ষে ১৫ হাজার মহিলা এবং প্রায় ২লক্ষ পুরুষ উপস্থিত হয়েছিল। মহিলারা অনেক কান্নাকাটি ও করেছিল।
এরপর ইবনু কাসীর বলেন,
ইবনু তাইমিয়্যাহকে গোসল দেয়ার পর যে পানি অবশিষ্ট ছিল, একদল লোক তা পান করলো। আরেকদল লোক বরই পাতাগুলো ভাগাভাগি করে নিয়ে গেল যা গোসলের পর অবশিষ্ট রয়েছিল।

( অবশ্যই এ কাজ গুলো করা হয়েছিল বরকত হাসিলের নিয়ত করে। আর লা-মাযহাবীরা বলে এটা বেদ’আত, হারাম।  আমাদের কথা হল তারা যদি বিদআত, শিরিক মনে করে তারা কেন এ কাজ নিজেরা করে?)

এরপর ইবনু কাসীর বলছেন,
ইবনু তাইমিয়্যাহর মাথায় উকুন ছিল বিধায় তিনি গলায় তাবিজ ব্যবহার করতেন। 

(খাইছে, লা-মাযহাবীরা বলে থাকে, তাবিজ ঝুলানো স্পষ্ট শিরক। তার মানে তাদের শায়খুল ইসলাম উকুনের ভয়ে ঐ শিরক কাজ তাঁর জীবনে করলেন! উকুনের যদি এতই ভয়, তো আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন, তাবিজ ঝুলাবেন কেন, তাই না? )

ইবনু কাসীর বলছেন, ঐ তাবিজটিকে ১৫০ দিরহামে বিক্রয় করা হলো। আর তাঁর মাথায় ব্যবহৃত টুপিটি ৫০০ দিরহামে বিক্রয় করা হলো।

(অবশ্যই যারা কিনেছিলেন, তারা বরকত হাসিলের জন্য এত দাম দিয়ে এগুলো কিনেছিলেন, তাই নয় কি? কিন্তু ইহাতেওতো বেদ'আত, নয় কি? )
এরপর ইবনু কাসীর বলছেন,
ইবনু তাইমিয়্যাহ এর ইনতেকাল উপলক্ষে অনেক খতম আদায় করা হলো। আর অনেকদিন পর্যন্ত ইবনু তাইমিয়্যাহ এর কবরের পাশে লোকজন দিন রাত (২৪ ঘন্টা) অবস্থান করেছিল। তারা সেখানে ঘুমাতো এবং ভোর করতো। 

(হায় আল্লাহ, এ তো দেখি, রীতিমত উরস আর কবরপূজা। তারমানে, অনেকদিন পর্যন্ত ইবনু তাইমিয়্যাহ এর কবরের পূজা অর্চনা করা হলো, তাও আবার দিন রাত একই সমান্তরাল গতিতে! লাগাও এবার ফতোয়া। )


_____________________________________ 
এ হলো শায়খুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ এর ঘটনা, লিখেছেন তারই ছাত্র হাফিয ইবনু কাসীর তাঁর "আল বিদায়াহ ওয়ান নেহায়াহ" নামক কিতাবে। 
_________________________

ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিদাকা আবি ওয়া উম্মী ওয়া আহলি ওয়া দাময়ী ��

You may like these posts

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...