Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

Search Suggest

Posts

সাহাবায়ে কেরামের যুগে নামাজের পর সম্মিলিত দোয়াঃ

3 min read




(কপি / শেয়ার করবেন)
____________________________
সাহাবীর পরিচয়ঃ
____________ 
আল আলা বিন আল হাদরামী রাদিয়াল্লাহু আনহু ।
উনি এমন এক সাহাবী ছিলেন যাকে মুসতাজাবুদ দা’ওয়াহ বলা হত কারণ তিনি দোয়া করলে আল্লাহ তা কবুল করতেন।
আলোচনাঃ
_______________________ 
ঘটনা সংক্ষেপ করে মূল কথাটি বলার চেস্টা করছি।
হযরত আবু বকর ছিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু এর খেলাফত আমলে মুরতাদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য হযরত আলা হাযরামী রাদিয়াল্লাহু আনহু কে মুজাহিদদের কমান্ডার বানিয়ে বাহরাইন পাঠালেন। একটি শুষ্ক ময়দান অতিক্রম করার সময় সকলে প্রচন্ড পিপাসার্ত হয়ে পরলেন। সবার পাত্র খালি। পানি নেই।
দাহনা নামক স্থানে সকলে রাত্রি যাপন করলেন। এক পর্যায়ে আলা বিন আল হাযরামী রাদিয়াল্লাহু আনহু সকলকে ডাকলেন। হযরত আবু হুরায়রাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু ও তাদের সাথে ছিলেন। সবাই তখন চিন্তায় কাতর ছিলেন। আলা রাদিয়াল্লাহু আনহু সবাইকে শান্তনা দিলেন, বললেন, তোমরা মুসলমান। আল্লাহর পথে বের হয়েছো। আল্লাহর কসম, তোমরা কখনো লাঞ্ছিত হবেনা।
ফজরের সময় হলো। 
সকল সাহাবায়ে কেরাম তায়াম্মুম করে ( তায়াম্মুমের কথাটি ইমতাউল আসমা কিতাবে রয়েছে) সালাত আদায় করলেন। সালাত আদায়ের পর হযরত আলা বিন আল হাদরামী রাদিয়াল্লাহু আনহু হাত তোলে পানির জন্য দোয়া করলেন। (হাত তোলার বর্ণনা তারীখে তাবারীতে রয়েছে) এবং সকল সাহাবায়ে কেরাম তাঁর সাথে দোয়া করলেন। (আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করলেন) দোয়া শেষে তারা পানি দেখতে পেলেন। সকলেই সেদিকে ছুটলেন এবং পানি পান ও গোসল সারলেন।
রেফারেন্সঃ
_________________ 
• এ ঐতিহাসিক ঘটনাটি নামধারী আহলে হাদীসদের শায়েখ (তাদের দাবী অনুসারে) ইবনু কাসীর তাঁর আল বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াহ গ্রন্থে (৬/৩৭০) উল্লেখ করেছেন। 
• একই ঘটনা বিশ্ববিখ্যাত ইমাম, মুফাসসির, ঐতিহাসিক, ইবনু জারীর তাঁর তারীখে তাবারীতে ২য় খন্ডের ৫২২ পৃষ্টায় উল্লেখ করেছেন।
• একই ঘটনা ইমাম মিকরিযী তাঁর ইমতাউল আসমা নামক বিখ্যাত কিতাবে (৫/২৯১) উল্লেখ করেছেন।
• একই ঘটনা ঐতিহাসিক মুহাম্মাদ রিদা তাঁর আবু বকর সিদ্দীক আউয়ালু খুলাফাইর রাশিদীন নামক কিতাবে ( পেইজঃ১০০) উল্লেখ করেছেন। 
• একই ঘটনা সালাফীদের হাতে গড়া ডক্টর সায়্যিদ বিন আল হুসাইন আল আফফানী তাঁর বিখ্যাত কিতাব ফুরসানুন নাহার মিনাস সাহাবাতিল আখইয়ার (৫/১২২) এ উল্লেখ করেছেন।
চাপাবাজিঃ
______________________ 
নামধারী আহলে হাদীসরা এ ঘটনাকে সরাসরি অস্বীকার করতে না পেরে বলে, এ ঘটনাটি সনদ বিহীনভাবে বর্ণিত হয়েছে, সুতরাং এটি দিয়ে দলীল দেয়া যাবেনা।
জবাবঃ
_____________________ 
• নামধারী চাপাবাজ আহলে হাদীস নামক ভন্ডরা এখানে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। মিথ্যা ধোঁকা দিয়ে সত্যকে ঢাকার বৃথা চেস্টা করেছে। অবশ্যই এ ঘটনার সনদ এর উল্লেখ রয়েছে। তারীখে তাবারী খুলুন, দেখবেন পরিস্কারভাবে এর সনদ সেখানে রয়েছে। 
• সালাফীরা নিজেদেরকে নিয়ে গর্ব করে, তারা নাকি জাল হাদীস কখনো বলেনা। তো তারাই তো দাবী করে, ইমাম ইবনু কাসীর সালাফী আকীদার লোক ছিলেন। তাহলে তাদের (তাদের দাবী অনুসারে) শায়েখ ইবনু কাসীর কীভাবে এই জাল কথাটিকে সাহাবীদের নামে তাঁর কিতাবে চালিয়ে দিলেন?
মূলতঃ বিষয়টি এমন নয়। তাঁর পূর্বে এঘটনার সনদ সহ বর্ণিত হয়েছে। তিনি যদিও তাঁর কিতাবে সনদের উল্লেখ করেন নাই, কিন্তু এ ঘটনা নিয়ে তিনি কোন সমালোচনা করেননাই। তাঁর মানে তিনি এটিকে সমর্থন করেছেন। যদি এটা জাল হত, তবে তিনি সেটা তাঁর কিতাবে উল্লেখ করতেন না, কিংবা উল্লেখের পর এর সমালোচনা করতেন। মোট কথা, ইবনু কাসীরের নিকট এটি গ্রহণযোগ্য ঘটনা ছিল। 
• এ ঘটনাটি যদি সনদ বিহীন বর্ণনা হয়ে থাকে, তবে তো এটির কোন ভিত্তি থাকার কথা নয়। তাহলে সালাফী, লা-মাযহাবীদের শায়েখরা তাদের কিতাবে এটিকে কোন সমালোচনা ছাড়াই উল্লেখ করেছেন? ডক্টর আফফানী তো তাদেরই হাতে গড়া লোক। আলবানীর আকীদার লোক। সালাফী শায়েখদের নিকট থেকে তা’লীম নিয়েছেন। তো তিনি কেন তাঁর কিতাবে এ ঘটনাটি কোনরূপ সমালোচনা ছাড়াই উল্লেখ করলেন? অবশ্যই এটি তাঁর নিকট গ্রহনযোগ্য ছিল বিধায় তিনি উল্লেখ করেছেন।
• সুতরাং নামধারী আহলে হাদীসরা একটি গ্রহনযোগ্য ঘটনাকে বিজের ঘৃণ্য স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সনদ বিহীন বলে উড়িয়ে দিতে চাইছে। এটি তাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে এটি তাদের চরিত্র। এটি নতুন কিছু নয়। এমন অনেক মিথ্যাচার তারা আরো করেছে। প্রমাণের কোন অভাব নেই। নিজেদের স্বার্থ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনে তাদের নিজেদের শায়েখেদের লাথি মারতে দ্বিধা বোধ করেনা। 
অদ্ভূত চরিত্র এই কথিত, নামধারী, ফেতনাবাজ আহলে হাদীসরা!

ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিদাকা আবি ওয়া উম্মী ওয়া আহলি ওয়া দাময়ী ��

You may like these posts

  • আল্লাহ্ সুবহানু ওয়া তা’লা ইরশাদ মুবারক করেন যে “মুমিন পুরুষদের বলঃ তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করে; এটাই তাদের জন্য উত্তম; তারা যা করে সে ব…
  • ৭ প্রকার লোকের দোষত্রুটি বর্ণনা করলে, তা গীবত হয় নাঃ হুজ্জাতুল ইসলাম ( ৩ লক্ষ হাদিসের হাফিজ) , মুজাদ্দিদে মিল্লাত, হাকিমুল হাদীস হযরত ইমাম গাযযালী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সুপ…
  • ★ ইমাম তিরমিযি (রহ.)এর আসল নাম মুহাম্মদ, উপনাম আবু ঈসা, নিসবতি নাম তিরমিজি ও বুগি। আর বাবার নাম ছিল ঈসা ইবনে সুরাত। তাঁর উপাধি ছিল আল-ইমাম। তিনি বর্তমান উজবেকিস্তানের জিহুন নদীর বে…
  • ★ রাসূলুল্লাহ (ﷺসা ) বলেন,إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلَالِي الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلِّي‘‘কিয়ামতের দি…
  • আসুন দেখি আমাদের আদর্শ আমাদের একমাত্র পথ প্রদর্শক নুরে মুজাসসাম রাহ্মাতাল্ললিল আলামিন হুযুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে সুন্নতি তরিকায় ঘুমাতেন।1. ঘুমিয়ে যাওয়ার আ…
  • রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ “নারীদের পুরোটাই হচ্ছে “আওরাহ” বা সতর (শরীরের যে অংশ ঢেকে রাখা বাধ্যতামূলক)। যখন সে ঘর থেকে বের হয় শয়তান তাকে চোখ তুলে দেখে। নারী ঘরের মধ্যে অবস্থানকালেই আল…

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...