Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

Search Suggest

Posts

আহলে হাদীস নয় আহলুস-সুন্নাহ এর অনুসারী হতে হবেঃ

4 min read

ইমাম মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (তাবেঈ) [ওফাইসন ১১০ হি:] : 

★ ইমাম ইবনে সীরীন (রহ) থেকে বর্ণিত,

তিনি বলেছেন, নিশ্চয়ই এই ইলম (ইলমে হাদিস বা হাদিসের সনদ) দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত । কাজেই তোমরা কার নিকট থেকে তোমাদের দ্বীন গ্রহন করছো তা ভালো করে দেখে নাও।

★ ইবনে সীরীন থেকে বর্ণীত, তিনি বলেন, এমন এক সময় ছিল যখন লোকেরা সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতো না। কিন্তু পরে যখন ফিতনা দেখা দিলো তখন লোকেরা হাদীস বর্ণনাকারীদের বললো, তোমরা কোন ব্যক্তির নিকট থেকে হাদীস গ্রহন করেছো আমাদের কাছে তাঁদের নাম বর্ণনা করো। তাহলে বুঝা যাবে তারা 'আহলে সুন্নাত' কিনা? যদি তারা এই সম্প্রদায়ের হয় তাহলে তাঁদের হাদীস গ্রহন করা হবে। আর যদি দেখা যায় তারা (অন্য আকিদ্বার দিক থেকে সম্প্রদায় তখন তারা) বিদআতী তাহলে তাঁদের হাদীস গ্রহন করা হবেনা। (মুসলিম)

আহলে হাদীস নয় হতে হবে সুন্নাহ এর অনুসারী

___________________ আহলে হাদীস একটি বিভ্রান্ত ফিরকা
বস্তুতঃ হাদীস ও সুন্নাহ এক জিনিস নয়, বরং এ দুইয়ের
মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে । উম্মতের জন্য দ্বীনের উপর
চলার অনুসরনীয় পথ কে সুন্নাহ বলে ।
আর ” প্রত্যেক সুন্নাহই হাদীস কিন্তু সকল হাদীসই সুন্নাহ
নয়।” অর্থাৎ দ্বীনের উপর চলার জন্য উম্মত সকল হাদীসকেই
অনুসরন করতে পারবে না যদিও সেই হাদীসটি “সহীহ্ ” হয়।
কেননা অনেক সহীহ্ হাদীস আছে যা অন্য সহীহ হাদীস
দ্বারা রহিত হয়ে গিয়েছে বা তা পূর্বের বিধান ছিল কিন্তু
পরবর্তীতে রসূলুল্লাহ (দঃ) এর হুকুম দ্বারা রহিত
হয়ে গিয়েছে ।
নিম্নে কিছু হাদীস উদাহারন স্বরুপ তুলে ধরলামঃ
১. সহীহ্ বুখারীর কিতাবুল জানায়েযের ১৩০৭ থেকে ১৩১৩
নং হাদীস সমূহ । এসব হাদীসে জানাযা বহন
করে নিয়ে যেতে দেখলে সকলকে দাঁড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে ।
অথচ এই বিধান এই বিধান অন্যান্য সহীহ্ হাদীস দ্বারা রহিত
হয়ে গিয়েছে ।
( উমদাতুল কারী ৬/১৪৬)
২. ইসলামের প্রথম যুগে নামাযরত অবস্থায় কথা বলা, সালাম
দেওয়া , সালামের উত্তর দেওয়া সবই বৈধ ছিল । কিন্তু
পরবর্তীতে এই বিধান রহিত হয়ে যায়।
( সহীহ্ বুখারী হা. নং- ১১৯৯, ১২০০)
৩. ইসলামের প্রথম যুগে বিধান ছিল যে, আগুনে রান্নাকৃত
খাদ্য গ্রহন করলে উযু ভেঙ্গে যাবে । কিন্তু পরবর্তীতে এই
বিধান রহিত হয়ে যায় ।
( সহীহ্ বুখারী, হা.নং- ২০৮)
৪. নবীজী ( সঃ) হিজরতের পর মদীনায় ১৬/১৭ মাস বাইতুল
মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে নামায আদায় করেছেন । কিন্তু
পরবর্তীতে এই বিধান রহিত হয়ে যায়।
( সহীহ্ বুখারী হা. নং- ৭২৫২)
এগুলো সবই সহীহ্ হাদীস কিন্তু সুন্নাহ নয়। অর্থাৎ এই
হাদীসগুলো উম্মতের জন্য অনুসরনীয় নয়।
৫. এমন অনেক হাদিস আছে যার বিধান নবীজী (সঃ) এর
সঙ্গে নির্দিষ্ট । উম্মতের জন্য তার উপর আমল করা বৈধ নয়।
যেমনঃ বহু হাদিসে রসূলুল্লাহ (দঃ) এর ১১টি বিবাহের
কথা এবং মহর দেওয়া ছাড়া বিবাহ করার কথা এসেছে।
তো এগুলো হাদিস বটে কিন্তু উম্মতের জন্য অনুসরনীয় নয় ।
( সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ফী সীরাতি খাইরিল ইবাদ ১১/
১৪৩-২১৭)

৬. হাদীসে এমন অনেক আমলের কথা বর্ণিত
আছে যা রসূলুল্লাহ (দঃ) কখনো কোন বিশেষ
প্রয়োজনে করেছেন । যেমনঃ কোমরে ব্যথা থাকার
কারনে কিংবা এস্তেন্জা করার স্থানে বসার
দ্বারা শরীরে বা কাপড়ে নাপাকি লাগার অশংঙ্কায়
তিনি সারা জীবনে মাত্র ২বার দাঁড়িয়ে ইস্তেঞ্জাকরেছেন।

কিন্তু হাদিসের বর্ণনায় এসব কারনের কথা উল্লেখ নেই ।
শুধুমাত্র দাঁড়িয়ে ইস্তেঞ্জা করার কথা আলোচিত হয়েছে।
তো এই হাদিসের উপর আমল করে কি দাঁড়িয়ে ইস্তেঞ্জা
করাকে সুন্নাহ বলা যাবে ?

৭. একথা বুঝানোর জন্য আরো দেখুন রসূলুল্লাহ (সঃ) এমন অনেক
কাজ করেছেন যা ওনার জন্যই খাস ছিলঃ একবার তার
নাতনী উমামা বিনতে যয়নবকে কোলে নিয়ে নামায
পড়িয়েছেন।( সহীহ্ বুখারী,হা. নং- ৫১৬)
আবার তিনি রোযা অবস্থায় তার এক স্ত্রীকে চুম্বন করেছেন

( সহীহ্ বুখারী ,হা.নং- ১৯২৮) ।
এই উভয় ঘটনাই হাদিসে এসেছে । এর দ্বারা রসূলুল্লাহ (দঃ)
বুঝাতে চেয়েছেন যে, প্রয়োজনের ক্ষেত্রে শিশ্ত
কোলে নিয়ে নামায
পড়া বা পড়ানো যেতে পারে এবং রোযা অবস্থায়
স্ত্রীকে চুম্বন করা বৈধ, এতে যদি রোযার কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।
তাই বলে কি সব সময় শিশু কোলে নিয়ে নামায
পড়ানোকে কিংবা রোযা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন
করা সুন্নাহ বলা যাবে ?
উপর্যুক্ত আলোচনার দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, ” আহলে হাদীস
” নামটিই সঠিক নয় । কারন রসূলুল্লাহ (দঃ) কোন বর্ননায়ই
উম্মতকে হাদীস মানতে বলেন নাই , বলেছেন ” সুন্নাহ ”
মানতে । তারপরও যারা নিজেদেরকে ” আহলে হাদীস ”
বলে দ্বাবী করে তাদের উচিৎ ১১টি বিবাহ করা, মহর
ছাড়া বিবাহ করা, ইহরাম ও রোযা অবস্থায়
শিঙ্গা লাগানো, রোযা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করা,
দাঁড়িয়ে পেশাব করা ইত্যাদিকে সুন্নাত মনে করে আমল
করা ।
অনুরুপভাবে জীবনে মাত্র ৩দিন মসজিদে এসে তারাবীহ এর
নামায পড়া , নামাযরত অবস্থায় কথা বলা , সালাম দেওয়া ,
সালামের উত্তর দেওয়া । কারন এগুলোও
তো হাদিসে এসেছে । কিন্তু তারা এসব করবে না ।
তাহলে হাদীস মানার দাবীদার হয়ে এসব হাদিসের উপর
আমল না করে কিভাবে তারা আহলে হাদীস হল ???
আসল কথা হলো, তারা নিজেদেরকে “আহলে হাদীস ” বললেও
বাস্তবে মুখবাজি( বাগাড়ম্বরি ) ছাড়া কিছুই না ।
অপর দিকে রসূলুল্লাহ (সঃ) যেহেতু উম্মতকে সুন্নাহ
আঁকড়ে ধরতে বলেছেন তাই সকল মাযহাব অনুসারীগন
হাদিসের শুধুমাত্র সুন্নাহ অংশের অনুসরন
করি এবং নিজেদেরকে ” আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আহ ”
বলে পরিচয় দিই । অর্থাৎ রসূলুল্লাহ (দঃ) এর সুন্নাত
মানি এবং সাহাবায়ে কেরামের জামা’আতকে অনুসরন করি ।
মূলকথা “আহলে হাদীস ” নামটিই সঠিক নয় ,
এটি একটি বিভ্রান্ত নাম ।

ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিদাকা আবি ওয়া উম্মী ওয়া আহলি ওয়া দাময়ী ��

You may like these posts

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...