Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

Search Suggest

Posts

হস্ত মৈথুন এর কুফল ও ক্ষতিকর দিকগুলোঃ

5 min read
লেখক - মাদানী শাহ্

হস্ত মৈথুন! অর্থাৎ নিজ হাত দ্বারা নিজে নিজের বীর্যপাত করা। 
বর্তমান সময়ে যুব সমাজ ধ্বংসের অন্যতম একটি মারাত্মক মহামারী ব্যাধির কারণ হচ্ছে হস্ত মৈথুন আর এ মহামারী ব্যাধিতে আক্রাত্র হচ্ছে আমাদের যুব সমাজ 
হায়। ঘুনে ধরা মস্তিষ্কের অধিকারী কতিপয় যুবক যুবতীবিবাহের দ্বার অবরুদ্ধ দেখে। নিজেদের নিজ হাত দ্বারা হস্ত মৈথুন করে নিজে নিজের হাত দিয়ে বীর্যপাত করে স্বীয় যৌবনকে ধ্বংস করতে আজ দ্বিধা করছেনা। প্রথমে প্রথমে সে কাজ তৃপ্তিদায়ক মনে হয়, কিন্তু যখন চোখ খুলে যায়, তখন যে সে কাজ কই চলে যায় তাহ বলার বাইরে স্মরণ রাখবেন! এ কাজ হারাম ও গুনাহে কাবীরা। 
আসুন আমরা আর জানি 
কি তার ভয়াবহতা। 
ইসলামের দৃষ্টি থেকে হস্ত মৈথুন কী? 
ও কী হয় তার ক্ষতি ও বৈজ্ঞানিক কুফল। 
ইসলামে এ কাজ খুবই অপছন্দনীয়।ও শরীয়ত কর্তৃক কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। জঘন্য নাজায়েজ ও হারাম। আর এ কাজ 
মহান আল্লাহ্ তা’ আলার স্মরণ থেকে 
মুসলিমদের অনেক দূরে রাখে। হস্তমৈথুনের ধ্বংসাত্মক বেপারে পবিত্র কুরআনে
★ আল্লাহ পাক সুরা বাকারার ১৯৫ নং আয়াতে ইরশাদ করেছেন: 
ﻭﻻ ﺗﻠﻘﻮﺍ ﺑﺄﻳﺪﻳﻜﻢ ﺍﻟﻰ ﺍﻟﺘﻬﻠﻜﺔ 
" তোমরা নিজ হাতদ্বয় দিয়ে নিজেদের ধ্বংসের পথে ঠেলে দিও না।" 
অর্থাৎ তোমরা নিজ হাত দিয়ে নিজে বীর্যপাত করিওনা এবং নিজের ধ্বংস নিজে ডেকে আনিওনা।
★ হাদিস শরীফে, 
প্রিয় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম বলেন যে ব্যাক্তি হস্ত মৈথুন করবে সে অভিশপ্ত।( ফাতাওয়ায়ে রযভীয়্যা,১০ খন্ড,পৃষ্ঠা ৮৬)
★ আলা হযরত আলাইহি রহমা, হস্ত মৈথুন সম্পর্কে লিখেছেন, একাজ ওপবিত্র, হারামও নাজায়েজ। ফাতাওয়ায়ে রযভীয়্যা,১০ খন্ড,পৃষ্ঠা ৮৭)
★ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম হস্ত মৈথুন কারীর কঠোর শাস্তির কথা ইরশাদ করেছেন। হযরত শামশুদ্দীন যাহবী আলাইহি রহমা বর্ণানা করেন, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওসাল্লাম ইরশাদ করেন সাত প্রকার লোকের প্রতি 
আল্লাহ্ তা'আলা লানত প্রদান করেছেন,কিয়ামত দিবসে তিনি তাদের প্রতি রহমতের দৃষ্টি ও নিবন্ধ করবেন না এবং তিনি তাদের বলবেন, তোমরা জাহান্নামে প্রবেশকারীদের সাথে জাহান্নামে প্রবেশ করো,যদি তারা তওবা না করে মৃত্যুবরণ করে। 
সে সাত প্রকারের লোক হল। 
অবৈধ কাজে লিপ্ত 
(১) ব্যক্তি জিবজন্তুর সাথে খারাপ কাজে লিপ্ত ব্যক্তি
(২) মা ও মেয়েকে এক সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধকারী
(৩) হস্তমৈথুন কারি ব্যক্তি
(কিতাবুল কবায়ের, পৃষ্ঠা-৬৩)
★ আল্লামা মাহমুদ আলুসী আলাইহি রহমা তাফসীরে রুহুল মুয়ানীতে লিখেছেন, হযরত সায়্যিদুনা আতা (রাদ্বীআল্লাহু তা'লা আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,আমি শুনেছি, কিয়ামত দিবসে একদল লোককে হাশরের ময়দানে এমন অবস্থায় উপস্তিত করা হবে যে,তাদের হস্তসমূহ গর্ভবতী থাকবে। এ জন্যে যে তারা নিজ হাতে হস্ত মৈথুন করে গোসল ওয়াজিব করত,অর্থাৎ নিজে নিজ হাতে বীর্যপাত করতো। 
তিনি আরো লিখেছেন, হযরত সায়্যিদুনা সাঈদ বিন জুবায়ের (রাদ্বীআল্লাহু তা' লা আনহু) হতে বর্ণিত, ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা'আলা, এমন এক সম্প্রদায়কে আজাবে লিপ্ত করিয়েছেন, যারা নিজেদের লজ্জাস্থানকে অবৈধ পন্থায় ব্যবহার করেছিল। 
(রুহুল মায়ানী,সূরা- আল মুমেনুন,আয়াত-০৩ 
,পারা-১৮,খন্ড -৯ম,পৃষ্ঠা 
১৬)
★ হযরতে সায়্যিদুনা আবু দারদা রাদ্বিআল্লাহু তা'লা আনহু বলেন,"ক্ষনিকের জন্য শাহওয়াতের যৌন উত্তেজনা মিঠানোর জন্যে তার অনুসরণ করা দীর্ঘ অস্থিরতার কারণ হয়। প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা। আমার এ লিখা গোপনে" নিলর্জ্জতার কাজ যারা করে, তাদের জন্য লজ্জার পয়গাম স্বরূপ হবে বলে আমি মনে করি।হাদীস শরীফে হস্ত মৈথুন কারীকে মালউন অভিশপ্ত বলা হয়েছে এবং তার জন্য রয়েছে জাহান্নামের বেদনা দায়ক শাস্তি । এ কাজে পরকালও তার যেমন নষ্ট হয়ে যায় এবং ইহকালেও তার জন্য প্রচুর ক্ষতির কারণ 
হয়ে যায়। 
স্বভাবগত অভ্যাস দ্বারা তারা স্বাস্থ্যও ভেন্ঙ্গে পড়ে নস্ট হয়ে যায় কারণ এ কাজ এক বার করার পর বার বার পূনরায় সে কাজ করতে ইচ্ছে হয়।কয়েক বার সে কাজ করলে পুরুষাঙ্গে ফুলি চলে আসে এবং সে ও পুরুষ অঙ্গের নরম ও সূক্ষ রগসমূহ বার বার হাতে ঘর্ষনে ডিলে হয়ে যায় এবং পুরুষাঙ্গ নিস্তেজ হয়ে পড়ে।অবশেষে অবস্থা এ পর্যায়ে গিয়ে দাড়ায় যে,কোন নারীর প্রতি সামান্য কু দৃষ্টিপাত করলে কিংবা কোন নারীকে জল্পনা কল্পনা করলে সাথে সাথে বীর্য বের হয়ে পড়ে।এমন কি কাপড়ের সাথে পুরুষ অন্ঙ্গ ঘর্ষনের ফলেও বীর্য বের হয়ে যায় 
বীর্য সে রক্ত থেকে সৃষ্টি হয়,যা সমস্ত শরীরে খাদ্য পৌছানোর পর অবশিষ্ট থাকে। যখন প্রচুর পরিমানে বীর্য নির্গিত হতে থাকে তখন রক্ত সমস্ত শরীলে কীভাবে খাদ্য পৌছাবে?ফলশ্রুতি 
তে শরীরের যাবতীয় কার্যক্রম লন্ডবন্ড হয়ে যায় সাথে হস্ত মৈথুন করলে অর্থাৎ নিজে নিজ হাত দ্বারা বীর্যপাত করলে এ কাজে ছাব্বিশ টি শারীরিক মারাত্মকভাবে ক্ষতি ওহ হয়! যেমন :
(1)মন দূর্বল হয়ে পড়ে।
(2)পাকস্থলী
(3)যকৃত এবং
(4)হৃৎপৃন্ড নষ্ট হয়।
(5)দৃষ্টি শক্তি হ্রাস পায়।
(6)কানে শু শু আওয়াজ অনূভূত হয়।
(7)সর্দা মেজাজ খিটখিটে থাকে।
(8)সকালে ঘুম থেকে উঠলে শরীর কাহিল হয়ে পড়ে।
(9)শরীরের জুড়ায় জুড়ায় ব্যাথা অনুভূত হয়, এবং চোখে ঝাপসা দেখে।
(১০) বীর্য পাতলা হয়ে যায় যার কারণে সর্বদা সামান্য সামান্য বীর্য নির্গত হতে থাকে। প্রস্রাবের নালীতে বীর্য জমে থাকে। যার ফলে দূরগন্ব্দের সৃষ্টি হয় ফলে প্রস্রাবের নালীতে ক্ষত হয়ে যায়। এবং ক্ষত স্হান থেকে রক্ত পূঁজ বের হয়। প্রথমে প্রথমে প্রস্রাবের সময় সামান্য সামান্য জ্বালা যন্ত্রণা করে।
(১১) পরবর্তী প্রস্রাব সাথে পুঁজ বের হয়।
(১২) অতঃপর প্রস্রাবের সময় তীব্র জ্বালা যন্ত্রণা সৃষ্টি হয়।
(১৩) এমনকি গলোরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে জীবন এমনি তিক্ত করে তোলে যার ফলে মানুষ মৃত্যু কে আহবান করতে থাকে।
(১৪) বীর্য পাতলা যাওয়ার কারণে কোন জল্পনা কল্পনা ব্যতীত প্রস্রাবের আগে বা পরে প্রস্রাবের সাথে বীর্য বের হতে থাকে একে প্রমেষ রোগ বলা হয় এবং নতুন নতুন কঠিন কঠিন রোগ বালাই সৃষ্টি হয় শরীলে।
(১৫) মেরুদন্ড দূর্বল হয়ে পরে।
(১৬) পুরুষ অন্ঙ্গ আকারে ছোট আঁকা বেকা হয় ও আগা মোটা গুড়া চিকন বা গুড়া মোটা আগা চিকন বিকল দূর্বল হয়ে যায় যার কারণে বিয়ে করতে ভয় পারে না বা ভয় পায়।
(১৭) যার কারণে বিবাহের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলে।
(১৮) যদিও বিয়ে করে স্ত্রী সাথে মিলন করার ক্ষেত্রে সফল হয়না আর হলেও বীর্য পাতলা হবার কারণে সন্তান সন্ততি জন্ম হয়না ফলে নিঃসন্তান থেকে যায়।
(১৯) কোমরে ব্যথা করে।
(২০) চেহেরা হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
(২১) শরীল দিন দিন ক্ষীন যায় স্বাস্থ্যওহ ভেঙে যায়।
(২২) টাইফয়ড রোগে আক্রান্ত হয়।
(২৩) মস্তিষ্ক বিকল হয়ে পরে।
(২৪) মানুষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
(২৫) এমনকি পাগল হয়ে যাবার ওহ কারণ হয়ে দারায়।
(২৬)
সংবাদ মাধ্যমে জানা যায় যে, যখন এক হাজার টাইয়ফড উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হল তখন দেখা গেল যে, তাদের মধ্যে ৪১৪ জন হস্ত মৈথুন, ১৮৬ জন অধিক অবৈধ যৌন মিলনের কারণে টাইয়ফড রোগে আক্রান্ত হয় এবং ১২৪ জন পাগলের উপরও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায় তাদের মধ্যে ২৪ জন অধিক হস্ত মৈথুন করার কারণে পাগল হয়েছিল।
( জান্নাতে দুইটি কুন্জি,পৃষ্ঠা ১৪১/১৪২)

ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিদাকা আবি ওয়া উম্মী ওয়া আহলি ওয়া দাময়ী ��

You may like these posts

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...