Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

Search Suggest

চাঁদ দেখা সংক্রান্ত মাসায়েল :

2 min read

চাঁদ দেখা সংক্রান্ত মাসায়েল :

মাসআলাঃ চাঁদ উদয়স্থান যদি মেঘাচ্ছন্ন হয় তবে এমন একজন সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন, বালেগ ও মুসলমান ব্যক্তির (চাই পুরুষ হোক অথবা মহিলা) চাঁদ দেখার দারাই রমযানের চাঁদ প্রমানিত হবে,যার দ্বীনদার হওয়া স্বীকৃত। কাজেই উক্ত অবস্থায় একজন পাগল, নাবালেগ,অমুসলিম অথবা প্রকাশ্য ফাসেকের চাঁদ দেখা দ্বারা রমজানের চাঁদ প্রমাণিত হবে না।

মাসআলাঃ চন্দ্র উদয়স্থল পরিষ্কার হলে এমন সংখ্যক লোকের চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দেওয়া জরুরী যার দ্বারা চাঁদ উঠার প্রবল বিশ্বাস সৃষ্টি হয়।

মাসআলাঃ কেউ নিজে চাঁদ দেখলে যদি তার সাক্ষ্য গ্রহন না করা হয়, তবে সেক্ষেত্রে তার নিজের জন্য রোযা রাখা ফরজ । তবে ঈদ সে অন্যান্য মানুষের সাথেই আদায় করবে । চাই তার রোযা ৩১ টি হোক না কেন।

মাসআলাঃ অনেকে শাবান মাসের ৩০ তারিখে এই নিয়তে রোযা রাখে যে, যদি রমযান শুরু হয়ে থাকে তবে রমযানের রোযা অন্যথ্যায় নফল রোযা হবে। এভাবে এই দিনে রোজা রাখা মাকরূহ । তবে কেউ যদি পূর্ব থেকেই এভাবে রোযা রাখতে অভ্যস্ত হন (যেমন তিনি প্রতি মাসেই শেষ তিনদিন রোযা রাখেন ) তবে তার জন্য জায়েয।

মাসআলাঃ কোন ব্যক্তি একদেশে রোযা শুরু করল। এরপর সে অন্য একটি দেশে সফর করল । সেখানে গিয়ে দেখল ঐ দেশবাসীর রোযা তার থেকে একটি বেশি হয়েছে এবং তার ২৮ টি রোযা পূর্ণ হওয়ার পর ঈদ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেমন কেউ বাংলাদেশ থেকে সৌদিআরব গেলে এমনটি হতে পারে। এক্ষেত্রে তার করনীয় কী ?
অনুরুপভাবে কেউ সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসে দেখল তার থেকে বাংলাদেশবাসীদের রোযা একটি কম হচ্ছে । এক্ষেত্রে তার রোযা ৩১ টি হতে পারে । সে কী করবে ?
এমতাবস্থায় প্রথম ব্যক্তি অর্থাৎ যার রোযা ২৮টি হয়েছিল সে ঐ দেশবাসীর সাথেই ঈদ পালন করবে এবং পরবর্তিতে ১ টি বা ২টি রোযা রেখে ৩০টি পূর্ণ করে নিবে । তবে ওই দেশে ( যেখানে সে সফর করে গিয়েছে ) যদি ২৯টি রোযা হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে সে ২৯টি পুরা করতে পারবে।
আর দ্বিতীয় ব্যক্তি ঐ দেশবাসীর সাথে রোযা রাখতে থাকবে । যদিও তার রোযা ৩১টি হয়ে যায় । যাতে রমযানের সম্মান নষ্ট না হয় । পরে তাদের সাথেই ঈদ করবে।

মাসআলাঃযেসব স্থানে দিন-রাত সাভাবিক নয় (যেমন ছয় মাস দিন এবং ছয় মাস রাত থাকে) সেসব স্থনের লোক কিভাবে রোযা রাখবে ?
যেসব দেশে দিন-রাত ভারসাম্য পূর্ণ নয় সেখানকার লোকেরা তাদের পাশ্ববর্তি ভারসাম্যপূর্ণ দেশের সাথে তুলনা করে রোযা রাখবে । অর্থাৎ তারা যেভাবে রোযা রাখে উক্ত দেশের লোকেরাও সেভাবে রোযা রাখবে।

ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিদাকা আবি ওয়া উম্মী ওয়া আহলি ওয়া দাময়ী ��

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...