Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Test link

Search Suggest

আটটা কারণ: কেন লোকজন এখন ‘সালাফি’ হয় না?

2 min read

আটটা কারণ: কেন লোকজন এখন ‘সালাফি’ হয় না?

-----


সবকিছুরই একটা ক্রেজ থাকে। সবকিছুরই একটা ট্রেন্ড থাকে। আধুনিক মানুষ ট্রেন্ডি। পরিবর্তন আনবে যে ট্রেন্ডটা, সেটায় যুক্ত হয় আত্মবিশ্বাসী মানুষ। অলরেডি যা আছে, তা থেকে আরো ভাল বদল আসবে বলে মনে হয় যে ট্রেন্ডটায়, সেটায় তরুণ মনেরা যুক্ত হয়।


মানুষ এখন আর সালাফি হওয়ার ট্রেন্ডে নাই, তার কারণ খুবই সুস্পষ্ট-


১. সালাফি বিপ্লবী উগ্রবাদী মতবাদগুলো দেশে দেশে সারা পৃথিবীতে মার খেয়ে গেছে। আইসিস বলেন, আল কায়েদা বলেন, বোকো হারাম বলেন। এটা এখন হারন্ত পার্টি, আর ট্রেন্ডিরা কখনো হারন্ত পার্টিতে নাম লেখায় না।

২. সৌদ শাসক ও যাযাবর গোত্র যে সালাফিজম ২০০ বছর ধরে প্রমোট করছে, সেই সালাফিজম প্রমোট করা থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে। ঢেলে দেয়ার তেলও নাই, তেল চকচকে মাথাও নাই।

৩. ‘মডারেট’ সালাফি ঘরানাগুলোও মার খেয়ে গেছে। যেমন, উপমহাদেশে জাকির নায়েক।

৪. সালাফিজমের প্রধান মুখপাত্রদের অনেকে কট্টর সালাফিজম ছেড়ে দিয়ে মডারেট সালাফিজমও ছেড়ে দিয়েছেন। অবশেষে সফট সালাফিজম গ্রহণ করেছেন। যেমন ইয়াসির ক্বাদি।

৫. সদ্য ট্রেন্ড দেখতে খুবই ভাল। কিন্তু চিন্তাশীলরা বুঝতে শুরু করেছেন, সালাফিজমের ভিতরে যে উগ্র আকিদাগুলো ঢোকানো আছে, যে অবাস্তব দোষারোপের ভিত্তিতে এবং ঘৃণাপ্রসূত ও কল্পনাপ্রসূত ডকট্রিনের ভিত্তিতে সালাফিজম দাঁড়িয়ে আছে- সেগুলোর প্রায় সবই অসার এবং ক্ষণিক। স্রেফ বিরোধিতার খাতিরে আকিদা তৈরি করা হয়েছে। এবং অন্যায়ভাবেই তৈরি করা হয়েছে, বিষয়টা কুরআন ও সুন্নাহ্’র বিপরীতেই যাচ্ছে। এটা যখন তারা বুঝতে পারলেন, তখন এখান থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন ওইসব চিন্তকরা, যারা অন্যদের প্রভাবিত করেন।

৬. সালাফিজমের মধ্যে প্রায় ২০০ বিপরীত উপফির্কার জন্ম হল। কোন উপফির্কা সহির মধ্যে সহি, সেটা খুঁজতে গিয়ে হয়রান হয়ে যখন বীতশ্রদ্ধ হয়ে গেল মানুষ, তখন আর জয়েন করার ট্রেন্ড থাকলো না।

৭. সালাফিজম একটা এক্সাইটমেন্টের মধ্যে চলে। এক্ষুনি ভেঙে ফেলবে, এখনি কায়েম করে ফেলবে, এখনি খুন করে ফেলবে, এখনি শুদ্ধ করে ফেলবে, এখনি পরিত্যাগ করবে। মানুষ গঠনগতভাবে শান্তিতে, আনন্দে, স্ট্যাটাস কো তে থাকতে পারে, কখনোই ওভার এক্সাইটেড অবস্থায় বছরের পর বছর থাকতে পারে না। এই ডোপামিন ড্রাইভ, ডোপাম্যানেজিক সোসাইটি আজ অথবা কাল ডিক্লাইন করতোই। কারণ দীর্ঘস্থায়ী এক্সাইটমেন্ট সব সময় হতাশা নিয়ে আসে। শুধু হতাশা না, ব্রেনের ডিক্লাইন হয়, হাড়ের ক্ষয় হয়, দেহ ভেঙে পড়ে। ফলে ব্রেনের হরমোনের অবস্থানটাও পাল্টে যায়। এটা যে অস্বাভাবিক, এটা এক সময় মানুষ ধরতে পারে এবং দূরে সরে যায়।

৮. সালাফিজমের বিকল্প তৈরি হয়েছে। এটা একটা মেজর কারণ।

ইয়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফিদাকা আবি ওয়া উম্মী ওয়া আহলি ওয়া দাময়ী ��

Post a Comment

NextGen Digital Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Type here...